বাড়ি নির্মাণ করতে রড কিনতে চাচ্ছেন তবে ১ কেজি রডের দাম কত তা জানেন না। তাহলে এই পোস্ট থেকে আজকের রডের দাম কত জেনে নিন।
নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে রডের কোন বিকল্প নেই। রড ছাড়া বাড়ি তৈরি করলে শক্তিশালী হবে না। তাই বাড়ি নির্মাণের কাজে রড অপরিহার্য একটি উপাদান।
নতুন বাড়ি যারা তৈরি করছে তারা অনেকেই ১ কেজি রডের দাম কত জানতে আগ্রহী। তাই আজকের পোস্ট থেকে বাংলাদেশে রডের দাম কত জেনে নিন।
১ কেজি রডের দাম কত ২০২৫
আজকে ১ কেজি রডের দাম ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা। মূলত বিভিন্ন কোম্পানির রডের মূল্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। দেখা যায়, কোন কোন কোম্পানি ১ কেজি রড বিক্রি করছে ৮৫ টাকায়।
আবার অনেক কোম্পানির ১ কেজি রডের দাম ৯০ টাকা। এছাড়া একদম ভালো কোম্পানির রোড কিনলে কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা লাগে।
তাহলে বোঝা গেল রডের দাম মূলত নির্ভর করে কোম্পানির উপর। এছাড়া সময় ও স্থানভেদে রডের মূল্য কম-বেশি হয়।
বাংলাদেশে আজকের রডের দাম কত
বাংলাদেশে আজকের রডের দাম কেজি প্রতি ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা। ১ কেজি রড কিনতে হলে সর্বনিম্ন ৮৫ ও সর্বোচ্চ ৯৫ টাকা লাগবে।
আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানির রড বাজারে পাওয়া যায়। মূলত কোম্পানির উপর রডের বাজার দর নির্ভর করে।
এছাড়া রডের বাজার সব সময় ওঠানামা করে। এ কারণে রড কেনার আগে অবশ্যই রডের বাজার দর যাচাই করবেন।
আজকের রডের দাম কত ২০২৫
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজকের রডের দাম ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা। আবার কোনো কোনো জায়গায় ৯০ টাকা দরেও রড বিক্রি হচ্ছে।
রডের কোম্পানির উপর নির্ভর করে রডের দাম কত টাকা। ভালো কোম্পানির রড কিনলে কেজি ৯২ থেকে ৯৫ টাকা লাগবে।
মোটামুটি কোয়ালিটির রড কিনলে কেজি প্রতি ৯০ টাকা। আর নিম্নমানের ১ কেজি রডের মূল্য ৮৫ টাকা।
আরও পড়ুন — ক্রাউন সিমেন্ট এর দাম কত ২০২৫
Bsrm রডের আজকের দাম 2025
দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নির্ভরশীল রড কোম্পানি BSRM । বাড়ি নির্মাণ করার কথা ভাবলেই প্রথমে Bsrm কোম্পানির রডের কথা মাথায় আসে। বর্তমান বাজারে রডের চাহিদা অনেক বেশি।
Bsrm রডের আজকের দাম কেজি প্রতি ৯২ থেকে ৯৫ টাকা। Bsrm ১ কেজি রড কিনতে ৯২-৯৫ টাকা খরচ হবে।
১ টন বিএসআরএম রডের মূল্য প্রায় ৯২,০০০ থেকে ৯,৫০০০ টাকা। তবে বেশি পরিমাণে রড নিলে দাম আরো কম হবে।
Aks রডের আজকের দাম 2025
১ কেজি Aks রডের আজকের দাম ৯০ থেকে ৯২ টাকা। প্রতি কেজি Aks রড বর্তমানে ৯০-৯২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আবার আপনি যদি এক টন Aks রোড কিনতে চান তাহলে ৯০ থেকে ৯২ হাজার টাকা খরচ হবে।
ইটের বাড়ি তৈরি করতে নিশ্চিন্তে Aks রড ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে রডের বাজারে এই কোম্পানির রডের চাহিদা অনেক বেশি।
আনোয়ার ইস্পাত রডের দাম ২০২৫
আজকে আনোয়ার ইস্পাত রডের দাম প্রতি কেজি ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। ১ কেজি আনোয়ার ইস্পাত রড কিনতে ৮৮-৯০ টাকা লাগবে।
বর্তমানে ১ টন আনোয়ার ইস্পাত রড ৮৮,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে আনোয়ার ইস্পাত রডের দাম সব সময় স্থির থাকে না।
তাই আনোয়ার ইস্পাত রড কেনার আগে ভালোভাবে রডের দাম যাচাই করে নিবেন।
GPH রডের আজকের দাম ২০২৫
কনস্ট্রাকশনের কাজে জিপিএইচ ইস্পাতের কোন বিকল্প নেই। প্রতি কেজি GPH রডের আজকের দাম ৯০ টাকা।
১ কেজি জিপিএইচ ইস্পাত রড কিনতে ৯০ টাকা লাগবে। তবে কোন কোন জায়গায় প্রতি কেজি GPH রড ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
KSRM রডের আজকের দাম ২০২৫
KSRM রডের আজকের দাম ৮৭-৮৮ টাকা। ১ কেজি KSRM রড ৮৭-৮৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
গত মাসের তুলনায় KSRM দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে ১ কেজি KSRM রোডের মূল্য ছিল ৮৫-৮৬ টাকা।
কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। এছাড়া সময় ও স্থানভেদে KSRM রডের দাম কম বেশি হয়।
Csrm রডের আজকের দাম 2025
Csrm রডের আজকের দাম কেজি প্রতি ৮৫ টাকা। ১ কেজি Csrm রড কিনতে ৮৫ টাকা লাগবে। আবার অনেক জায়গায় Csrm রড ৮৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
১ মেট্রিক টন Csrm রডের দাম ৮৫,০০০ টাকা। সিএসআরএম রোডের বাজার দর সব সময় একরকম থাকে না। তাই রড কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করবেন।
আরও পড়ুন — আজকের বসুন্ধরা গ্যাসের দাম কত ২০২৫
১ টন রোডের দাম কত?
ভালো কোম্পানির ১ টন রডের বাজার মূল্য প্রায় ৯২,০০০ থেকে ৯৫,০০০ টাকা। মোটামুটি কোয়ালিটির ১ মেট্রিক টন রড ৯০-৯২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আবার নিম্নমানের এক টন রডের মূল্য ৮৫,০০০-৮৬,০০০ হাজার টাকা। রডের বাজার কখনোই স্থির থাকে না। তাই রড কেনার আগে ভালোভাবে বাজার যাচাই করবেন।
শেষকথা
আজকের বাজার দর ওয়েবসাইটের এই পোস্টে ১ কেজি রডের দাম কত সম্পর্কে জানলাম। তবে রডের বাজার মূল্য প্রতিদিনই বৃদ্ধি পায়।
এজন্য রড কিনতে যাওয়ার আগে বাজার মূল্য ভালো হবে যাচাই করা দরকার। এরকম আরো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সর্বশেষ দাম জানতে AjkerBazarDor ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
FAQ’s
রডের দাম কি কমবে?
রডের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই বাড়ি নির্মাণ করতে আগে থেকেই রড কিনে রাখা ভালো।
রডের দাম কখন কম থাকে?
সাধারণত বর্ষাকালে কনস্ট্রাকশন কাজ কম থাকে। এজন্য রডের চাহিদা এই সময় একটু কম থাকে। সে তুলনায় এ সময়ে রডের দাম কম থাকার সম্ভাবনা থাকে।