ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে ২০২৫

বর্তমানে ডিভোর্সের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি এই ডিভোর্সের সংখ্যা পর্যালোচনা করতে চাই তাহলে জানতে পারি,২০২০ সালে ডিভোর্সের সংখ্যা ১২,৫১৩টি এবং তার এক বছর পর ২০২১ সালে ১৪,৬৫৯টি। আর ঢাকার গত চার বছরের তথ্য অনুযায়ী মোট ডিভোর্সের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯৬৪টি। যা কল্পনা করাও অনেকটা কঠিন। বর্তমানে বিবাহের থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই ডিভোর্সের মাধ্যমে দুজন ব্যক্তির মধ্যে বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি হয় যা সম্পর্কে থাকা দুইজন ব্যক্তি পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায়। তবে বর্তমানে যেহেতু এই ডিভোর্সের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে, এই বিষয়টি জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাই যারা প্রকৃতপক্ষে এটি ডিভোর্স দিতে কত টাকা খরচ হয় তা জানতে এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত দেখুন।

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

এক জোড়া মানব মানবী বিয়ের মাধ্যমে আজীবন সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। তারপর সন্তান-সন্ততির তারা জন্ম দেয়। বিয়ের মত একটি পবিত্র, মধুর বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু হঠাৎ করে কোন কারণবশত মাঝপথে অনেকের এই স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায়। তবে বর্তমান সময়ে বিয়েটাকে একটা খেলা মনে করা হয়।

তো যাই হোক ইতিমধ্যে যারা ডিভোর্স এর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন তারা এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ুন। এখানে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে এবং ডিভোর্স দিতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এছাড়া স্ত্রী এবং স্বামীকে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে তার বিস্তারিত জানতে এই পোস্ট একদিন শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বিবাহ-তালাক রেজিস্ট্রেশন ফি কত

তবে মুসলিম বিবাহ ও তালাক বিধিমালা অনুযায়ী ২০০৯ এর ২১ বিধি অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমানে তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি প্রদান করা হয়। এবং নকল প্রাপ্তি ফি এর জন্য ৫০ টাকা, আর প্রতি কিলোমিটার যাতায়াতের জন্য দশ টাকা এবং তল্লাশি পি ১০ টাকা প্রদান করতে হয়।

ডিভোর্স দিতে কি কি কাগজ লাগে

পুরুষ এবং একজন নারী এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় এই ডিভোর্স দিতে। তবে সর্বপ্রথম একজন পুরুষ এবং নারী একই নিয়মে মৌখিক বা লিখিতভাবে বিবাহবিচ্ছেদের ইচ্ছার কথা জানাতে পারেন। এছাড়াও কাগজপত্রের তালিকার মধ্যে রয়েছে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ যা স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও জানাতে হয়।

এছাড়াও কোন নারী ও পুরুষের ডিভোর্স এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। যা সবকিছু বলা একটু অসম্ভব। বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে একজন পুরুষ এবং নারীর যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়েছিল ঠিক একই রকম কাগজপত্র বিভিন্নভাবে প্রয়োজন হয়।

স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চায় এক্ষেত্রে তাকে মৌখিকভাবে লিখিত ইচ্ছা জানাতে হবে। আর এই প্রক্রিয়াকেই আমরা ডিভোর্স বা তালাকনামা বলতে পারি। তবে ডিভোর্সের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কার্যক্রম একজন ব্যক্তিকে সম্পন্ন করতে হয়। যেখানে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে।

যেটা সে খরচকে নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা একদম অসম্ভব। অবশ্যই ডিভোর্সের জন্য রেজিস্টার অফিসে নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি প্রদান করা হয়। এবং নকল প্রাপ্তির জন্য ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন খরচ হয়েছে, যেগুলো ডিভোর্সের প্রক্রিয়ায় নানা রকম ভাবে খরচ হয়ে থাকে।

স্বামীকে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

বিয়ে করার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রি ফি এবং তালাক নিবন্ধন ফি আলাদা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রেও কোন নারী যদি স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চায়। এক্ষেত্রে ওই নারী কেউ একই পদ্ধতি অনুসরণ করে একজন স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও এই নারীকে ২০০৯ এর ২১ বিধি অনুযায়ী তালাক নিবন্ধনের জন্য ৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এবং নকল প্রাপ্তির জন্য ৫০ টাকা ফি।

শেষ কথা

আশা করতেছি ইতিমধ্যে আপনাদের অনুসন্ধান করার তথ্য জানতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ বিস্তারিত আপনাদেরকে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এই পোস্টের মাধ্যমে। এই পোস্ট আপনার কাছে যদি উপকৃত মনে হয়ে থাকে তাহলে আমাদের মাঝে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *