বৈধভাবে সিজনাল অথবা নন সিজনাল হতে পারে ইতালির ভিসা। ২০২৫ সালে ১ লক্ষ ৫১ হাজার শ্রমিক আমদানি করবে ইতালির জর্জা মেলোনি সরকার। আর এই ভিসা গুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে যত ভিসা সংগ্রহ করা হয় তার মধ্য থেকে ইতালির ভিসার দাম অনেক বেশি। এমনকি এ ভিসা সংগ্রহ করাটাও অনেক বেশি কঠিন।
এটি একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। এবং বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত কাজের উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে ইতালি পৌঁছে থাকেন এবং ভিসা তৈরি করে থাকেন। অতএব ২০২৫ সালে যারা বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চাচ্ছেন। তারা অবশ্যই এই পোস্ট থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় বিস্তারিত জেনে নিবেন।
ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময়
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবং জটিল জটিল সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়। তবে তার পূর্বে জেনে নিন ইতালি স্পনসার ভিসার আবেদনের সময় কবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের ২ তারিখ ৪ তারিখ এবং ৮ তারিখ ইতালির স্পন্সর ভিসা আবেদনের সময়।
আর এ বছর ১ লক্ষ ৩৬ হাজার শ্রমিক ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে চাচ্ছেন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অবশ্যই এই ভিসার জন্য আবেদন করুন। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া খরচ হবে। আর ভিসা তৈরি করতে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন কবে থেকে শুরু
এ বছর ২০২৫ সালের ২ ডিসেম্বর, ৪ ডিসেম্বর, এবং ৮ ডিসেম্বর থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন শুরু হবে। বাংলাদেশের প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই ইতালিতে যাওয়ার জন্য বেশ আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে থাকেন। তাই যারা বিভিন্ন শ্রমিক হিসেবে বা কাজের উদ্দেশ্যে ইতালির স্পন্সর ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা ডিসেম্বরের শুরুতে তারিখ অনুযায়ী আবেদন করুন।
ইতালি স্পন্সর ভিসা আবেদন ফরম
এই ইতালিতে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভিসা গুলো হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসা আরো ইত্যাদি। তবে প্রত্যেকটি ভিসার জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হয় এবং পরবর্তীতে জমা দিতে হয়।
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহ করার পর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়ম অনুযায়ী একদম সঠিকভাবে সকল তথ্য পূরণ করতে হবে। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে কত টাকা ভিসা আবেদন ফি দিতে হবে তা বিস্তারিত জেনে নিন।
এবং ভিসা আবেদন ফী ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নগদ টাকায় এবং ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড দিয়ে ফী প্রদান করুন। ব্যাংক কাউন্টারে টাকা প্রদানের পর রশিদ গ্রহন নিশ্চিত করুন। অতএব আপনাদেরকে সহজে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নিচে একটি ইতালির স্পন্সর ভিসার আবেদন ফরম উল্লেখ করা হলো।
ইতালি স্পন্সর ভিসা খরচ
ভিসা প্রসেসিং এর খরচ থেকে ভিসা তৈরি করা খরচ অনেক বেশি। ইতালির এই স্পন্সর ভিসারের জন্য আবেদন করতে খরচ হয় মোট ৯ হাজার টাকা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য খরচ গুলো হচ্ছে ভিসা আবেদনের ফি হচ্ছে ৫,০০০ টাকা, সার্ভিস চার্জ আছে ৩,৮০০ টাকা এবং ব্যাংক ড্রাফট চার্জ ২৭০ টাকা।
এছাড়াও আপনি ইতালি থেকে চাকরির জন্য নিয়োগ পেলে আপনার বাংলাদেশ টাকে খরচ হবে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। তবে জেনে রাখুন বাংলাদেশ থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসা তৈরি করতে মোট খরচ হবে তিন লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা। তবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা তৈরি করতে গেলে আপনার খরচ হতে পারে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ১৫ লক্ষ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য কি কি লাগে
একটি ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে অবশ্যই বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হয়। যে কাগজপত্রগুলো ছাড়া আপনি কখনোই একটি ভিসা তৈরি করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনি যদি ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে যেসব কাগজপত্র সমূহের প্রয়োজন হয় তা নিচের দেওয়া তালিকা থেকে স্পষ্ট দেখে নিন।
- ন্যূনতম ৬ মাসের বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আইএলটিএস কোর্স করা থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
- বর্তমান যেখানে কাজ করছেন তা প্রমাণপত্র এবং আপনার উপার্জনের প্রমাণপত্র।
- যদি প্রবাসে থাকেন তাহলে তার প্রমাণ পত্র।
- ইতালির স্পন্সর ভিসার জন্য একটি আবেদন ফরম থাকতে হবে।
শেষ কথা
আশা করতেছি ইতিমধ্যে আজকের এই আলোচনা থেকে ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৫ আবেদনের সময় এবং ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হয় বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আরও ইতালির স্পন্সর ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্ট আপনাদের কাছে উপকৃত মনে হলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ