জাপানের ভিসার দাম কত টাকা ২০২৫

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক নাগরিক জাপানে পৌঁছাতে পারেন। তবে সরকারি ভাবে এবং বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি ভিসা মাধ্যমে জাপানে যাওয়া যায়। তবে জাপানে যাওয়ার জন্য যেসব ভিসা বর্তমানে পাওয়া যায় সেই ভিসার দাম অনেক বেশি। তবে নূন্যতম সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে জাপান যেতে চাইলে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ খরচ হবে।

বিভিন্ন কাগজপত্র প্রস্তুত করা, জাপানে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ভিসার আবেদন করা, বিমান এজেন্সি অথবা ভিসা এজেন্সিদের সাথে যোগাযোগ করা এবং বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক খরচ মিলিয়ে সরকারিভাবে স্বাভাবিকের থেকেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। আর জাপান হচ্ছে পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ।

যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই জাপান অনেক বেশি উন্নত এবং আধুনিক। জাপানের রাজধানী টোকিও শহর, যেখানে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মানুষ উচ্চশিক্ষা এবং বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বসবাস করে থাকেন। তবে বর্তমানে যারা বাংলাদেশ থেকে জাপানে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছেন তাদের জন্যই আজকের এই লেখা।

জাপানের ভিসার দাম কত

বর্তমানে পূর্বের থেকে জাপানের ভিসার দাম বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে একজন বাংলাদেশী নাগরিক জাপানে ভিসা সংগ্রহ করতে পারেন। তবে বেশ কিছু নিয়ম এবং শর্ত সাপেক্ষে জাপানের ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। বেসরকারি ভাবে ভিসা সংগ্রহ করার থেকে সরকারিভাবে  ভিসা সংগ্রহ করলে কিছুটা কম খরচ হয়ে থাকে।

যেমন ন্যূনতম ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকায় জাপানে ভিসা পাওয়া যায়। অর্থাৎ টুরিস্ট ভিসা সর্বনিম্ন দাম হয়ে থাকে। যেহেতু বিভিন্ন ক্যাটাগরির এবং কাজের ভিসা পাওয়া যায়। তাই প্রতিটি ভিসার দাম আলাদা আলাদা নির্ধারিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখিত সচরাচর বাংলাদেশ থেকে কৃষি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়।

জাপান কাজের ভিসা খরচ ২০২৫

এই জাপানকে আমরা সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবে চিনে নাকি। উন্নত জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে অনেক বাংলাদেশী নাগরিক জাপানের কাজের জন্য ভিসার আবেদন করে থাকেন। তবে কত টাকা এসব ভিসার দাম হয়ে থাকে তা নির্ধারিত করে কেউ জানে না। পূর্বে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকায় জাপান কাজের ভিসা সংগ্রহ করা যেত।

কিন্তু বর্তমানে কাজের ভিসার দাম নতম ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। পাশের বেসরকারিভাবে জাপান কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে যাবতীয় খরচ আপনার হতে পারে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া সরকারিভাবে প্রবেশ করতে চাইলে এই খরচ কিছুটা কম হতে পারে।

জাপান যেতে কত টাকা লাগে

কোনরকম এজেন্সির সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে ব্যাপারটা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে কোন এজেন্সির সাহায্য ছাড়া যেতে চাইলে ৬ লাখ থেকে থেকে ৮ লাখ টাকায় যাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু বেশ কিছু শর্ত এবং প্রক্রিয়ার কারণে অনেকে নিজে নিজে জাপান যেতে পারে না।

তবে জাপান যেতে নূন্যতম ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এছাড়াও জাপান এগ্রিকালচার ভিসায় সরকারিভাবে যেতে খরচ হয় ১০ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা। জাপান ফ্যাক্টরি ভিসায় খরচ হয় ৯ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা।

জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

এই জাপান বিশ্বের বৃহত্তম মহানগরীয় অর্থনীতি। এমনকি এখানে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। এবং বেশি বেতন পাওয়ার ও সুযোগ রয়েছে। তবে অবশ্যই প্রতিটা কাজের দক্ষ থাকতে হবে। বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে। তবে সরকারি ভাবে সুযোগ সুবিধা সব দিক থেকে অনেক বেশি।

কোন এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে ন্যূনতম আপনার খরচ হবে ১১ লক্ষ থেকে থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এবং সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খরচ হবে ৮ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা। যেহেতু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়। তাই ভিসা অনুযায়ী এই দাম পরিবর্তন হতে পারে।

জাপান জব ভিসা ২০২৫

সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে জাপান থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন জব সার্কুলার দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জাপান সরকারি জব পেলে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায় এবং কম টাকায় বাংলাদেশ থেকে জাপান যাওয়া যায়।

আর বেসরকারিভাবে সংগ্রহ করা জব গুলোর দাম বিভিন্ন দালালেরা অনেক বেশি নিয়ে থাকেন। তবে সরকারি জাপান জব সার্কুলার হলে নূন্যতম ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এবং বেসরকারিভাবে জব সার্কুলার হলে যে সকল ভিসার দাম ন্যূনতম ১১ লক্ষ্য থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।

জাপান স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত

এই সকল দেশের স্টুডেন্ট ভিসার সংগ্রহ করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। এতে দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। ন্যূনতম ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয় জাপান স্টুডেন্ট ভিসা সংগ্রহ করতে।

জাপান কোন ভিসা চাহিদা বেশি

যেকোনো কাজের প্রতি অভিজ্ঞ হলে ওই কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি হবে। বিশেষ করে আপনি যে কাজে বেশি দক্ষ আপনার ওই দেশের চাহিদা থাকবে তত বেশি। তাই জাপান যেতে হলে অবশ্যই কোন কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করুন পরবর্তীতে জাপান প্রবেশ করুন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাপানে যে কাজের সবথেকে চাহিদা বেশি তা হচ্ছেঃ

  • কেয়ারিং ম্যান
  • ইলেক্ট্রিশিয়ান
  • সেলসম্যান
  • কম্পিউটার অপারেটর 
  • ক্লিনিং 
  • কনস্ট্রাকশন 
  • ফুড প্যাকেজিং 
  • ফুড ডেলিভারি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top