বাংলাদেশ থেকে অন্য একটি দেশে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ হলো বিমান পথ। এ বিমান পথের মাধ্যমে খুব সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যায়। এজন্য আপনাকে বিমান পথ দিয়ে যাওয়ার কিছু নিয়মকানুন এবং ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। আপনি চাইলে হুট করে বিমান টিকিট কাটতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে যে দেশে যাবেন সে দেশে যাওয়ার অনুমোদন এবং ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট করতে হবে। এরপর আপনাকে বিমানবন্দর থেকে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে বিমানের টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
অনেকেই আছেন কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকেটের দাম কত সম্পর্কে অনলাইনে খুঁজে থাকেন। এই বিমান দিয়ে আপনি তিনটি ক্যাটাগরির টিকেট কেটে আপনার পছন্দের দেশে যেতে পারবেন। কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে দুবাই, ওমান, কুয়েত এই তিনটি দেশে যাওয়া যায়। এ বছর এ বিমান টিকিটের মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে।
কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকেটের দাম কত
আপনি কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমানের টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি বিমানবন্দর থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিনিয়ত ডলারের রেট অনুযায়ী বিমানের টিকিট কম বেশি হয়ে থাকে। কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমানের টিকিট তিনটি ক্যাটাগরিতে কেনা যায়। সবচেয়ে কম রেট থেকে বেশি দাম পর্যন্ত তিনটি ক্যাটাগরিতে কুয়েতের লাইন্সের টিকিট ক্রয় করা যায়। বর্তমান কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিটের দাম সর্বনিম্ন ২৬,০৩৪ টাকা। এবং সর্বোচ্চ ভালো ক্যাটাগরির ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমানের টিকিট রয়েছে।
কুয়েত বিমান টিকেট মূল্য
বাংলাদেশ থেকে আপনি কোন দেশে যাবেন সে দেশ অনুযায়ী বিমানের টিকিটের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। কারণ দূরত্ব অনুযায়ী বিমানের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ থেকে যে দেশে দ্রুত বেশি সেদেশে যেতে হলে বিমানের টিকেটের মূল্য অনেকটাই বেশি। আপনার কাগজপত্র এবং সব ডকুমেন্টস এবং ভিসা এসব কিছু সঠিক হলে এরপর আপনি বিমানের টিকেট কাটতে পারবেন। অনেকেরই পছন্দ কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমান। এ বিমান দিয়ে আপনি কম খরচে টিকিট কেটে কুয়েত যেতে পারবেন। বিমানের টিকেটের মধ্যে তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে।
- economy ক্যাটাগরি টিকেটের মূল্য সবচেয়ে কম দাম।
- Business ক্যাটাগরির টিকেটের মূল্য সাধারণ দাম।
- Frist Class ক্যাটাগরির টিকেটের মূল্য সবচেয়ে বেশি দাম।
কুয়েত টু ঢাকা বিমান ভাড়া
কুয়েত যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ কমপ্লিট হয়ে গেলে তখন আমাদের বিমানের টিকিট কেটে কুয়েত যেতে হয়। বিমানের টিকিটের সাথেই ফ্লাইটের দিন তারিখ এবং সময় লেখা থাকে। একমাত্র টিকিট কাটার পরে ফ্লাইটের সময় বলা যাবে। আপনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়েত যাওয়ার বিমানের টিকিট কাটলে ফ্লাইটের তারিখ দেখতে পাবেন। এছাড়াও কুয়েত টু ঢাকা বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
কুয়েত টু বাংলাদেশ বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য কুয়েত যাচ্ছে। বিমানের পথ হয়ে কুয়েত যাওয়া অনেকটাই সহজ। তিনটি ক্যাটাগরির বিমানের টিকিট রয়েছে সর্বনিম্ন আপনি ৪৫ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে ইকোনমিক ক্যাটাগরির টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এবং সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের যাওয়ার টিকেট রয়েছে।
কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসতে কত সময় লাগে
কুয়েত থেকে বিমান পথে বাংলাদেশে আসতে আপনার সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা থেকে ছয় ঘন্টা। আপনি এই ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারবেন। এবং আপনার বিমানবন্দরে এসে লাগেজ সংগ্রহ করতে এবং অন্যান্য কাজ কমপ্লিট করতে আরো দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে।
কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকেট চেক
আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কুয়েতে এয়ারলাইন্স টিকিট খুব সহজে চেক করতে পারবেন। বিমান টিকিট কাটার পর যদি মনে কোন সন্দেহ থাকে এবং চেক করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট নাম্বার দিয়ে চেক করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে আপনি গুগল ক্রোমে প্রবেশ করে কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিট চেক লিখে সার্চ করলেই আপনি সামনে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। এরপর ম্যানেজ বুকিং বাটনে ক্লিক করে আপনার টিকিটের লাস্ট নেম এবং বুকিং রেফারেন্স তারপর ই টিকিট নাম্বার এ খালিঘর পূরণ করতে হবে। সর্বশেষ আপনি রিতারেটিভ বুকিং বাটনে সাবমিট করলে আপনার টিকিটের সমস্ত তথ্য চলে আসবে।
শেষ কথা
অনেকেই কুয়েত যাওয়ার জন্য কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমানটি ব্যবহার করে থাকেন। আপনারা যারা কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকেটের দাম কত জানতে চাচ্ছিলেন। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট পড়েছেন এবং বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আপনার যদি আমাদের এই পোষ্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে কুয়েত বিমান টিকিটের মূল্য দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ