পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৫

পর্তুগাল দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্র। সবাই চায় ভালো একটি রাষ্ট্রে যেতে। অনেক মানুষের স্বপ্ন রয়েছে ইউরোপের পর্তুগাল যেতে। কিন্তু বর্তমান পর্তুগাল যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যে কেউ চাইলেই যে কোন সময় পর্তুগালের ভিসা পাওয়া অসম্ভব। এজন্য আপনাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে অথবা কোন এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে। অনেকেরই পরিচিত লোক পর্তুগাল থাকে তাদের সাহায্য নিয়েও আপনি পর্তুগালের ভিসা পেতে পারেন।

প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ আছে তারা উচ্চ শিক্ষি অর্জন করার জন্য অথবা ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে পর্তুগাল যেতে চাচ্ছেন। আবার অনেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে পর্তুগাল যাওয়ার কথা ভাবতেছেন। পর্তুগাল ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। সবাই পর্তুগাল ভিসা করতে খরচ কত হবে সে তথ্য জানেনা। আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে পর্তুগাল ভিসার দাম কত এই তথ্য জানতে পারবেন।

পর্তুগাল ভিসার দাম কত

এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভিসা করতে হবে। অনেকেই আছেন পর্তুগাল ভিসা করার কথা ভাবতেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে পর্তুগাল ভিসা করতে কত টাকা লাগে এ তথ্য অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কারণ সঠিক ভিসার দাম না জানা থাকলে অনেক সময় প্রতারিত হতে হয়। অনেক দালাল অথবা এজেন্সি রয়েছে তারা ভিসার দাম বেশি নিয়ে থাকেন।

আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার ভিসার খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা। এবং অন্যান্য কাজের উদ্দেশ্যে পর্তুগাল যেতে চাইলে আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। বর্তমান এখন পর্যন্ত কাল কাজের ভিসা করতে চাইলে আপনার খরচ হবে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১১ লক্ষ টাকা। এবং সময়ের ব্যবধানে ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন

আপনি পর্তুগাল যেতে চাইলে অবশ্যই আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ ভিসার অনুমতি না পেলে পর্তুগাল যেতে পারবেন না।। অবৈধ পথে পর্তুগাল যাওয়া অনেক রিক্সের ব্যাপার। এজন্য আপনাকে সঠিক উপায়ে ভিসার আবেদন করতে হবে। আপনি নিজেই গুগল ক্রমে প্রবেশ করে পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

প্রথমে আপনাকে (portugal visa application)  লিখে সার্চ করতে হবে। আপনি পর্তুগাল অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফরম পূরণ করে সাবমিট করলে আপনার আবেদনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এরপর ফরমটি সংগ্রহ করে কোন এজেন্সির  মাধ্যমে ভিসা টাকা জমা দিলে আপনি পর্তুগাল ভিসা পেয়ে যাবেন।

পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

প্রতি বছরেই পর্তুগাল সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকেন। কারণ তাদের কাজ অনুযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম। বর্তমান ভিসা চালু রয়েছে। আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে। বাংলাদেশ থেকে এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে চাইলে সর্বনিম্ন ৮ লাখ টাকা থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগবে।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

অনেকেরই ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগাল যাওয়ার। সবাই অনলাইনের মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে এই তথ্যগুলো খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। পর্তুগাল যাওয়ার খরচ সম্পূর্ণ ভিসা ক্যাটাগরির উপর খরচ নির্ধারণ করবে। আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা থেকে ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। এবং এজেন্সির সাথে ভালো পরিচিত থাকলে কম টাকা খরচে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম

বর্তমান বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া অনেক কঠিন একটি কাজ। কারণ বাংলাদেশে কোথাও পর্তুগাল যাওয়ার এম্বাসি নেই। পর্তুগাল যেতে হলে আগে আপনাকে ভারতের দিল্লিতে প্রবেশ করতে হবে। তারপর দিল্লি থেকে পর্তুগাল যাওয়ার ভিসার আবেদন করতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার পর্তুগালে কোন পরিচিত লোকের সাথে কথা বলে ভিসা নিতে হবে। তাহলে আপনি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল পৌঁছাতে পারবেন।

শেষ কথা

আপনারা যারা পর্তুগাল যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু পর্তুগাল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানেন না। বর্তমান পর্তুগাল ভিসা পাওয়া অনেক অনেক কঠিন। অনেকে পর্তুগাল যাওয়ার আগে ভিসার খরচ সম্পর্কে জানতে চায়। ইতিমধ্যে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে পর্তুগাল বিভিন্ন ধরনের ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং পর্তুগাল ভিসার দাম কত জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top