একটা কিডনির দাম কত ২০২৪

স্বাভাবিকভাবে একজন ব্যক্তির বয়স অনুযায়ী কিডনির দাম নির্ধারণ হয়, এবং রোগীর অবস্থা, জরুরি এবং অতি জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে কিডনি দাম নির্ধারণ করা হয়। মোটকথা, শরীরের কোন অঙ্গের অথবা কিডনির কোন নির্দিষ্ট মূল্য হয় না। বাংলাদেশ কিডনি কেনাবেচা সম্পন্ন অবৈধ।

তবে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ডাক্তারদেরকে এই কিডনি কেনাবেচা করতে দেখা যায় অবৈধভাবে। শুধুমাত্র কালোবাজারে এবং চোরাকারবারী হিসেবে মানুষের কিডনি ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। সাধারণত মুমূর্ষ রোগীদের কাছ থেকে কালোবাজারি এবং চোরাকারবারী ব্যক্তিরা ২০ থেকে ২৫ লাখ এমন কি  ৫০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

কিন্তু ডোনারদের সর্বনিম্ন ২ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা এবং কম বয়সী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে প্রতারণা। তাই বিস্তারিতভাবে এই আলোচনা থেকে একটা কিডনির দাম কত টাকা হতে পারে তা জানতে পারবেন।

একটা কিডনির দাম কত

প্রতারকের চক্রের কাছ থেকে জানা যায়, মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের কিডনির দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। আর বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের কিডনির দাম মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় কম হয়ে থাকে। যেমন ২০ থেকে ২৬ বছর বয়সী ব্যক্তিদের দাম ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আবার ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের কিডনির দাম দেওয়া হয়ে থাকে নূন্যতম ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।

তবে যে সকল রোগী কিডনি ক্রয় করতে চান তাদের কাছ থেকে এ সকল চক্র নূন্যতম ২০ লাখকে ২৫ লাখ টাকা দাবি করে থাকে। এমন কি কিছু কিছু রোগীর অবস্থা বুঝে প্রতারক চক্র ৫০ লাখ থেকে ৫৫ লাখ টাকা দাবি করে থাকে। এবং যে ব্যক্তি কিডনি বিক্রি করে থাকে অর্থাৎ ডোনার তাকে দেওয়া হয়ে থাকে ২ লক্ষ থেকে  সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

কিডনির দাম কত

স্বাভাবিকভাবে একটা কিডনির দাম কত টাকা হয় তা নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব। মানুষের অঙ্গ প্রতঙ্গের দাম অমূল্য। একজন রোগীর অবস্থা বুঝে কালোবাজারে এবং জোড়া কারবারি ব্যক্তিরা কিডনির দাম নির্ধারণ করে থাকেন। যদি কোন রোগী কিডনি ক্রয় করতে চান।

মানুষের কিডনির দাম কত

অসহায় গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষের কিডনি ক্রয় করে থাকেন খুবই অল্প দামে। অর্থাৎ নূন্যতম ২ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকায় কিছু কিছু মানুষের কাছ থেকে কিডনি ক্রয় করে থাকেন। এবং সেই ২ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার কিডনি রোগীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা এমনকি ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে।

শেষ কথা

আশা করতেছি এই পোস্ট থেকে ইতিমধ্যে একটা কিডনির দাম কত টাকা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যেহেতু মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দাম নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। অর্থাৎ অবস্থাভেদে এ সকল কিডনির দাম নির্ধারিত হয়। তবে কিডনি কেনাবেচা নিঃসন্দেহে অবৈধ। তবে চাইলে আত্মীয়দের মধ্যে অবস্থিত রোগীদেরকে কিডনি দান করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top